KNOW about ZAFAR IQBAL on Friday, February 5, 2010 at 4:50am
ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষবাদী ও প্রচারকরা যা বলতে চান সংক্ষেপে তা এরূপ- ব্যক্তিগত জীবনে মানুষ যার যার ধর্ম পালন করবে। কিন্তু রাস্ট্র হবে যেকোন ধর্ম থেকে আলাদা নিরপেক্ষ কিছু একটা। রাস্ট্রের আইন, আচার, সংস্কৃতি, প্রথা সদা সতর্ক থাকবে যেন কোন ধর্ম এর মধ্যে ঢুকে না পড়ে। ধর্মের সংশ্লেষ আছে এরূপ কোন বিষয় রাজনীতিতে আনা যাবেনা। সংবিধানেই এ দেয়াল তোলা থাকবে। ধর্ম তার পবিত্রতা ও শান্তির বাণী নিয়ে নাগরিকদের অন্তরে অন্দরমহলে থাকবে। বাইরের পৃথিবী চলবে রাস্ট্রের তৈরী নিরপেক্ষ বিধিমালায়।
বাহ্যত অনেকে সরলমনা ভাবে বিষয়টার প্রতি ধনাত্বক মনোভাব পোষন করলেও বা নিদেনপক্ষে ঋনাত্বক ভাব না দেখালেও গভীরে গেলে দেখা যাবে এটা একটা অন্তসার:শুন্য প্রস্তাব। ইন ফ্যাক্ট, উপরের বর্ননার মত খাঁটি ধর্মনিরপেক্ষ রাস্ট্র কোথাও পাওয়া যায়নি, যাবেও না। লিখার সুবিধার্থে তা কল্পনা করে নেয়া হল গণিতের 'মনে করি'র মত!
১. রাস্ট্রের মৌলিক উপাদানের প্রধানতমটিই হল মানুষ। মানুষ না থাকলে রাস্ট্র হয় না। মানবহীন রাস্ট্র বলতে কিছু নেইও। আর মানুষের জন্যই যেহেতু রাস্ট্র তাই মানুষের স্বভাব, কামনা, বাসনাকে তুচ্ছ করে শান্তিময় কোন রাস্ট্র হতে পারেনা। কোনদিন কোথাও হয়নি।
২. মানুষের অন্যতম মৌলিক উপাদান ধর্মের কোলে আশ্রয় কামনা। পার্থিব যাতনায় অতিস্ঠ মানুষ শেষ আশ্রয় খোঁজে অজ্ঞাত বিধাতার কোলে। ঘোরতর নাস্তিককেও যদি আল্লাহ থেকেই থাকেন জাতীয় মানসিকতার কবলে পড়ে মাঝে মধ্যে মসজিদমুখী হয়ে সম্ভাব্য পরকালের ব্যাপারে ব্যাকআপ নিতে দেখা যায়! তাই জগতজোড়া হাজারো ধর্ম।
৩. এহেন মানুষের সামাজিক কল্যানার্থে গড়ে উঠা রাস্ট্র চাইলেও সকল ধর্মকে পরিত্যাজ্য করে নিরপেক্ষ আচার আচরন দাঁড় করাতে পারবেনা। বিক্ষিপ্ত চেস্টার ফসল হবে নাগরিক সাধারনের মনে কস্ট দেয়া। আর নাগরিকদের মনে আঘাত দেয়া নিশ্চয়ই রাস্ট্রের কম্ম নয়!
৪. বহুজাতিক আধুনিক রাস্ট্রের স্থপতি মুহাম্মদ (স)ও মদীনা রাস্ট্রে ইহুদীদের বিচার আচার তাদের ধর্ম মোতাবেক করেছেন, নব্য ইসলামী আইনে নয়। তবে যেসব বিষয়ে সুনির্দিস্ট ইহুদী আইন নেই তা অবশ্যই রাস্ট্রের কাঠামোতে ইনসাফ বজায় রেখে ফায়সালা হয়েছে। তেমনিভাবে বর্তমানকালেও যেসব ধর্মে নানাবিধ সামাজিক প্রশ্নের সুনিদ্দিস্ট জবাব নেই তা নি:সন্দেহে পার্লামেন্টের ইনসাফমূলক প্রনীত আইনে হবে।
৫. কিন্তু ইসলাম এধরনের সীমাবব্ধতা থেকে বেশ দুরে। গোসল করা থেকে হজ্ব করা, ক্রয় বিক্রয় থেকে ব্যভিচারের প্রতিকার- সম্ভাব্য সকল বিষয়ে মুসলিমদের জীবনযাপন প্রনালী দেয়া হয়েছে। গভীর রাতের তাহাজ্জুদের একাকীত্বকে যেমন গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, তেমনি আদেশ দেয়া হয়েছে যুদ্ধকালীন সৈনিকের আচরন কি হওয়া উচিৎ। কোন বিষয়ে সুনির্দ্দিস্ট নির্দেশনা না থাকলে পার্লামেন্টের এ ক্ষমতা রয়েছে মৌলিক রীতির আলোকে ইনসাফপুর্ন আইন প্রনয়নের। বলে রাখা ভাল, দেওয়ানী ও ফৌজদারী যেকোন অন্যায় কিংবা জটিলতার নিরসনপূর্বক রায় বাস্তবায়নের ক্ষমতা সরকারের মাধ্যমে শুধুই বিচারবিভাগের। কোন হুজুর, মোল্লা, সমাজপতির নয়। তালেবান ও বাংলাদেশের একশ্রেনীর ইসলামপন্থি বস্তুটা উপলব্ধি করতে ভুল করে বেআইনি কাজ করছেন। পাড়াগাঁয়ের এসব ঘটনা নিতান্ত কূপমন্ডুকতা বৈ কিছু নয়।
৬. মানুষের জীবনে রাস্ট্র এতটাই প্রোথিতযে তা থেকে ব্যক্তিগত জীবনকে পুরোপুরি আলাদাভাবে বিবেচনা করা কঠিন। সুতরাং মুসলিম মাত্রেরই জীবনাচারে ইসলাম ও রাস্ট্রের সাংঘর্ষিক আইন সমূহ (যদি থাকে) দু দুটো বস্তু মেনে সুনাগরিক হিসেবে চলা কঠিন। রাস্ট্রের পুলিশ বা জেলের ভয়ে মেনে চললেও মনের দু:খ মনে রেখে গুমরে কাদঁতে বাধ্য। আর যে রাস্ট্র নাগরিকের মনোবেদনার কারন তা ভাল রাস্ট্র হতে পারেনা।
৭. গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বেশীরভাগ মানুষের মতামতেই রাস্ট্র চলবে। যে অঞ্চলে গারো বেশী তার কালাকানুন গারোধাঁচের হবে এটাই স্বাভাবিক। গারো অধ্যুষিত রাস্ট্রটি যদি নানাবিধ আইন প্রনয়নে নিজেদের বুদ্ধিমত্তার পাশাপাশি কিছু ইসলামি আইনও ধার নেয় তাতেইবা অসুবিধা কি? মুসলিম সংখ্যাগরিস্ট্ বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিরা বেশীরভাগ মুসলিম হবেন, আইন প্রনয়নে গোড়া থেকেই নিজেদের ধ্যানধারনা বা পাশ্চাত্য আইনের হুবহু নকল না করে তাদের স্রস্টা, রাসুল, ধর্ম ইসলাম এ ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা খুঁজে দেখবেন, ঘাটতি থাকলে নীতি বজায় রেখে নতুন আইন প্রনয়ন করবেন ও সৎ ভাবে সরকারী দায়িত্ব পালনকরে মেয়াদান্তে বিদায় নেবেন- এটাই স্বাভাবিক। এটার মধ্যে অতি অবশ্যই ভূখন্ডের নানান জনগোস্টির ব্যক্তিগত আইনগুলো যাতে সংখ্যাগুরু বা ক্ষমতাসীনদের বুটের তলায় চাপা না পড়ে সে দেখভাল করাও পরে। উপগোত্রীয় জটিলতায় গোত্রীয় গনভোট নেয়া যেতে পারে। মূল বিষয়টা ন্যায়বিচার কায়েম করা। এতে করেই ধর্ম যার যার রাস্ট্র সবার স্পিরিটের বাস্তবায়ন হতে পারে, রাস্ট্র থেকে সকল ধর্মকে বিতাড়িত করে নয়।
৮. অপরাপর ধর্মের ব্যাপারে বিশদ জানিনা, ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলাম পবিত্র ধর্ম, ইহাকে নিয়া রাজনীতি করা বা ইহাকে রাজনীতিতে টানিয়া আনা নিন্দনীয় কাজ বলে যে শ্লোকগুলো প্রচার করা হচ্ছে তা নিজেদের অশান্তি ও অপবিত্রতার স্বীকারোক্তি বৈ কি! আপনার এ অধিকার আছে ইসলামকে সম্পুর্নরূপে অস্বীকার করার, ভিন কোন ধর্মের অনুসরন করার বা কোন ধর্মেরই নিকুচি না করার। কিন্তু নিজে মুসলিম সেজে, ইসলামের ভাল ভাল প্রশংসা করে, জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে, নামাজ-রোজা-হজ্জ সবই মেনে এবং সাধ্যমত পালন করে রাস্ট্র ও রাজনীতির ব্যাপারে ইসলামকে টেনে আনা গুরুতর অপরাধের (!!) মনে করছেন। এ কেমন মনস্তাত্বিক দ্বৈততা? ঠান্ডা মাথায় বিচার করলে দেখা যাবে এটা হয়ত নিছক অজ্ঞতা, অথবা না বুঝে হট্টগোলের একজন হয়ে হাউ কাউ মাউ চিৎকার চেঁচামেচি করা। যেটা কিন্ডারগার্টেনের বাচ্চারা করে!
৯. মুল পথ থেকে সরে যাওয়া মানবগোস্টিকে সুপথে আনার জন্য অনেক নবীর আগমন হয়েছে। মানুষের আত্নিক, বৈষয়িক, পারিবারিক সংশোধনের জন্য তারা ডাক দিয়েছেন। রাজকার্য পরিচালনা করেছেন বা ততটা পথ পৌছতে পারেননি। মুহাম্মদ (স) ও একই কাজ করেছেন। রাজনীতির মাঠে বিরোধিদলের কন্টকাকীর্ন পথ পেরিয়ে প্রধান নির্বাহী হয়েছেন। চার খলিফাও সে রাস্তায় চলেছেন। উঁচু মানের ধর্মিক লোকরাই মন্ত্রী, পরামর্শক, প্রাদেশিক গভর্নর হয়েছেন। মুয়াবি'য়া (র) অন্যায্য শাসনের মধ্যদিয়ে সে ধারার বিচ্যুতি হয়েছে। ধার্মিকরা বাধ্য হয়েছেন রাজকার্য থেকে মসজিদে আশ্রয় নিতে। উদ্ভব হয়েছে মুসলিম সমাজে উদ্ভট আরব সাম্রাজ্যবাদের যেখানে ইমাম আবু হানিফার মত লোকও জেল খাটেন। যেখানে খুঁটি গেড়েছে রাজতন্ত্র।
১০. অনুসারীদের এহেন অধ:পতন ব্যাপকমাত্রার জীবনব্যবস্থা ইসলামকে খর্ব করেনা। করে ব্যর্থ মুসলিমদের। এখনও বোধযুক্ত মুসলিম ধর্মনিরপেক্ষতা কামনা করতে পারেননা। করবেন ঠিক উল্টোটা। এখানে আওয়ামীলিগ, বিএনপি, জামায়াতের প্রশ্ন নয়, প্রশ্ন মানুষ, রাস্ট্র, বিশ্বাস, ন্যায়বিচার, সহাবস্থানের, গণমত ও শান্তির।
____________________
writer : পাললিক মন
link : http://www.somewhereinblog.net/blog/palalikman/28953340
____________________
'Shatil' M. Tawsif Salam (North South University)
বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষদের মূলধারাটির মানসিকতা যতটা না 'ধর্মনিরপেক্ষ', তার চেয়ে বেশি কিংবা পুরোটাই ইসলাম বিরোধী। অনেকের মাঝে নিজেকে অন্যতম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য যারা হন্যে হয়ে থাকেন, তাদের অনেকেই ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলার মাঝে সীমাহীন স্মার্টনেসের সন্ধান পান। ঢাকার উল্লেখযোগ্য কিছু এলাকায় ঘুরে বেড়ালে নজরে পড়বে যে আধুনিকতার এক অত্যবশ্যকীয় উপাদান হিসেবে ইসলামের প্রতি বিরাগ ধারণ করাকে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। সেসব আধুনিক জনগোষ্ঠীর সাথে কথা বলা হলে ইসলামের প্রতি তাদের বিরাগের বিষয়টি কোন ভাবেই তাদেরকে দিয়ে স্বীকার করিয়ে নেয়া যাবে না। কিন্তু তারা সবাইকে এই সত্যটি থেকে আড়াল করতে চান যে তারা প্রকৃতপক্ষে খ্যাতি-লোভী, প্রচারোম্মুখ তথাকথিত আধুনিক ব্যাক্তিবর্গ, যারা প্রচারে কয়েক কদম এগিয়ে থাকবার লক্ষ্যে ধর্মনিরপেক্ষ হওয়ার সহজ পন্থাকে বেছে নিয়েছেন এবং তাদের ধর্মনিরপেক্ষতার একমাত্র পরাকাষ্ঠা হচ্ছে মূর্খের মত ইসলামের গুষ্টি উদ্ধার করা।
সেক্যুলারিজম মানে হল রেলিজিয়াস অ্যাপেথি বা ধর্ম ঔদাসীন্য। কিন্তু আমাদের দেশে ইসলামের বিরুদ্ধবাদ যে করবে সে-ই সেক্যুলার। অথচ ধর্মনিরপেক্ষতার সাথে বিশেষ কোন ধর্মের বিরুদ্ধবাদের কোন যোগ থাকার কথা নয়, যদিও আমাদের সেক্যুলাররা ইসলামকেন্দ্রিক বিষয়গুলোর যদ্দূর পারেন বিরুদ্ধাচার করে থাকেন। একটি প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষ গোষ্ঠী যদি নিষ্ঠাবান হয়, তবে তার সবসময়ই এই ব্যাপারে নজর থাকবে যে তাদের কর্মকান্ড যেন দেশের বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে কোন দুরত্ব সৃষ্টি না করে। সত্যিকারের সেক্যুলাররা সবসময়ই মানুষের ধর্মীয় বিভেদ প্রকট হয়ে উঠে এরকম কোন কাজ থেকে বিরত থাকতে চাইবে। কিন্তু বাংলাদেশের সেক্যুলাররা কি এইসব দিক খেয়াল করেন? তাদের ব্যাপারে এই মন্তব্য করাই যায় যে তাদের মূল উদ্দেশ্যগুলোর একটি হচ্ছে নানান কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বারবার মনে করিয়ে দেয়া যে তারা সংখ্যালঘু।
Sagar Sharif Kaiser (Bangladesh University of Eng and Tech)
dhormoniropekkhota==nastikota, ei equation apni kon boite pelen???
at least ei kotha bolar age apnar math er kono boi er reference dewa uchit silo or bangla dictionary er reference dewa uchit silo.
Jai hok:
mostoke jodi thake gorami,
vabe she nijeke mosto gyani,
bojhate gele shetao dosh,
konodin tar hoinako hush.
Dhormoniropekkhota mane dhormohinota noi, eta amader age bujhte hobe.
......................................
রায়হান লিখেছেন
http://www.somewhereinblog.net/blog/palalikman/28953340
nastik chara ar keu shottikarer dhormoniropekhkho hotey parena
Rowshon Zahan Rashid replied to Sagar's poston July
To Sagar,
Boier nam-Quran. Sura number 3, name-al imran, where Allah suhanuwata'ala says-''innaddina indallahil islam''- meaning''only religion accepted by Allah is islam''. If a person believe in islam and become muslim, first of all he has to believe in Quran and he has to believe-there is no God but Allah and Muhammad(pbuh) is HIS messenger and prophet. When a person says he is muslim he has to believe in islam and he can't mix or match. If u don't like islam or feel islam and other religion are same, then definitely u r not ready to be a muslim. As Allah says in sura Baqara-'if u believe, enter into islam wholeheartedly,completely,''. This religion is complete, u can't add or minus anything from the islam, if u like it, be a muslim, if u don't then don't mix it and try to find out why islam says muslim are not allowed to hold that view.
Now u give the reference according to ialam what does 'dhormoniropekhota' mean and according to which verse of Quran you think is allowed ? I am hoping you are a muslim and if you are not then please forgive me, you don't have to answer my question.
Hope that's helpful. Thanks.
0 comments:
Post a Comment