সাম্প্রতিক সময়ে বর্তমান সরকার দিন বদলের কথা বলে বেশ কিছু বিতর্কিত এবং স্পর্শকাতর সিদ্ধান্তের কথা বলেছেন। তার মাঝে সবচেয়ে অদূরদর্শী সম্ভবত শিক্ষাব্যবস্থাকে ধর্ম নিরপেক্ষ করার প্রস্তাবটি। আর এই উদ্যোগে সরকারের উচ্চ মহল যাদেরকে সক্রিয়ভাবে পাশে পেয়েছেন, তার মাঝে দু:খজনকভাবেও রয়েছেন তরুণ প্রজন্মের ক্রেজ মুহাম্মাদ জাফর ইকবাল।
জাফর ইকবাল নবম দশম শ্রেণীর সিলেবাস থেকে ধর্মশিক্ষাকে বাদ দিতে বলেছেন। (http://tinyurl.com/mby242) আমরা এইসব চিন্তাভাবনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
দুইশত বছর প্রত্যক্ষভাবে এবং এখন পরোক্ষভাবে (পশ্চিমা দেশগুলো থেকে ডিগ্রি - সেইসাথে তাদের মানসিকতা আনার মাধ্যমে ) আমরা এমনই ঔপনেবেশিকতার নিগড়ে বন্দি হয়ে গেছি যে স্বকীয় চিন্তাভাবনার ক্ষমতাটুকুও হারিয়ে ফেলেছি।
পশ্চিমা পুঁজিবাদী দেশ, যাদের কোনো ধর্মীয় ভিত্তি নাই, তাদের কাছ থেকে ধার করা তথাকথিত ধর্ম নিরপেক্ষতার বুলি আওড়ানো কোন কাজের কথা নয়।
কোন মতবাদ প্রচার করার আগে সেটা আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য কিনা তা অবশ্যই দেখতে হবে।আমাদের রয়েছে ইসলামের মত একটি মহান, উদার ধর্ম। আমরা যদি অন্যান্য ধর্মের সাথে ইসলামকে গুলিয়ে ফেলি তাহলে মারাত্মক ভুল করব। ইসলাম ধর্ম আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক তো নয় ই বরং পবিত্র কোরআন অধ্যয়ন / গবেষণা নতুন নতুন আবিষ্কারের পথ উন্মুক্ত করে দিচ্ছে।
দু:খজনক হলেও সত্যি যে জাফর ইকবালের মত প্রথিতযশা লেখক, যার বিপুল গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তরুণ প্রজন্মের মাঝে, তিনি তার এই জনপ্রিয়তা গঠনমূলক কাজে না লাগিয়ে জাতি বিধ্বংসী কাজে ব্যবহার করছেন। আমরা যদি উনার বইগুলো একটু নিবিড়ভাবে অধ্যয়ন করি, তাহলে দেখব, ঊনার লেখগুলো কিভাবে আমাদের সন্তানদের কোমলমতি মনে সুকৌশলে নাস্তিকতার বীজ বপন করছে।
ধর্ম নিরপেক্ষতা, যার প্রায়োগিক অর্থ হয়ে গেছে ধর্মহীণতা এবং বস্তুবাদ, তা নিয়ে নতুন করে আমাদের দেশে experiment করার কিছু নেই। পশ্চিমাদের নারকীয় কার্যকলাপ, সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক বিপর্যয় আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে আশা করি।
বিগত দুই-তিন দশক ধরে আমাদের মাঝে ধর্মীয় অনুভূতিগুলো অনেক মূল্যহীণ হয়ে পড়েছে। এর পরিণামও আমরা দেখছি। ছাত্র রাজনীতির নামে অস্ত্র রাজনীতি, রাহাজানি, মাদকাসক্তি, পর্ণোগ্রাফি, দুর্নীতি ইত্যাদি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছঢ়িয়ে পড়েছে। জাফর ইকবালের মত যারা ধর্ম নিরপেক্ষতার( প্রকারান্তরে ইহজাগতিকতা) প্রচার ও প্রসার চান, তারা তাদের নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে (শাবিপ্রবি) একবার তাকিয়ে নিজের প্রস্তাবের পরিণতিটা দেখে নিতে পারেন।
তাই আসুন আমরা জাফর ইকবাল এবং অনুরূপ তথাকথিত প্রগতিবাদী দের এই অপরিণামদর্শী প্রস্তাবের ঘোর বিরোধিতা করি এবং সন্তানদের হাতে এনাদের বই তুলে দেয়ার আগে আরও একবার ভাবি- আজ থেকে ১০-১৫ বছর পর আমরা আমাদের সন্তানদের কি রূপে দেখতে চাই, ইসলাম সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নিয়ে বেড়ে ওঠা মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ নাকি ধর্ম ও বিবেক বিবর্জিত মানুষরূপী পশু হিসেবে।
written by : Hamida Mubasshera
http://www.facebook.com/topic.php?uid=48884725490&topic=8067
জাফর ইকবাল নবম দশম শ্রেণীর সিলেবাস থেকে ধর্মশিক্ষাকে বাদ দিতে বলেছেন। (http://tinyurl.com/mby242) আমরা এইসব চিন্তাভাবনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
দুইশত বছর প্রত্যক্ষভাবে এবং এখন পরোক্ষভাবে (পশ্চিমা দেশগুলো থেকে ডিগ্রি - সেইসাথে তাদের মানসিকতা আনার মাধ্যমে ) আমরা এমনই ঔপনেবেশিকতার নিগড়ে বন্দি হয়ে গেছি যে স্বকীয় চিন্তাভাবনার ক্ষমতাটুকুও হারিয়ে ফেলেছি।
পশ্চিমা পুঁজিবাদী দেশ, যাদের কোনো ধর্মীয় ভিত্তি নাই, তাদের কাছ থেকে ধার করা তথাকথিত ধর্ম নিরপেক্ষতার বুলি আওড়ানো কোন কাজের কথা নয়।
কোন মতবাদ প্রচার করার আগে সেটা আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য কিনা তা অবশ্যই দেখতে হবে।আমাদের রয়েছে ইসলামের মত একটি মহান, উদার ধর্ম। আমরা যদি অন্যান্য ধর্মের সাথে ইসলামকে গুলিয়ে ফেলি তাহলে মারাত্মক ভুল করব। ইসলাম ধর্ম আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক তো নয় ই বরং পবিত্র কোরআন অধ্যয়ন / গবেষণা নতুন নতুন আবিষ্কারের পথ উন্মুক্ত করে দিচ্ছে।
দু:খজনক হলেও সত্যি যে জাফর ইকবালের মত প্রথিতযশা লেখক, যার বিপুল গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তরুণ প্রজন্মের মাঝে, তিনি তার এই জনপ্রিয়তা গঠনমূলক কাজে না লাগিয়ে জাতি বিধ্বংসী কাজে ব্যবহার করছেন। আমরা যদি উনার বইগুলো একটু নিবিড়ভাবে অধ্যয়ন করি, তাহলে দেখব, ঊনার লেখগুলো কিভাবে আমাদের সন্তানদের কোমলমতি মনে সুকৌশলে নাস্তিকতার বীজ বপন করছে।
ধর্ম নিরপেক্ষতা, যার প্রায়োগিক অর্থ হয়ে গেছে ধর্মহীণতা এবং বস্তুবাদ, তা নিয়ে নতুন করে আমাদের দেশে experiment করার কিছু নেই। পশ্চিমাদের নারকীয় কার্যকলাপ, সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক বিপর্যয় আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে আশা করি।
বিগত দুই-তিন দশক ধরে আমাদের মাঝে ধর্মীয় অনুভূতিগুলো অনেক মূল্যহীণ হয়ে পড়েছে। এর পরিণামও আমরা দেখছি। ছাত্র রাজনীতির নামে অস্ত্র রাজনীতি, রাহাজানি, মাদকাসক্তি, পর্ণোগ্রাফি, দুর্নীতি ইত্যাদি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছঢ়িয়ে পড়েছে। জাফর ইকবালের মত যারা ধর্ম নিরপেক্ষতার( প্রকারান্তরে ইহজাগতিকতা) প্রচার ও প্রসার চান, তারা তাদের নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে (শাবিপ্রবি) একবার তাকিয়ে নিজের প্রস্তাবের পরিণতিটা দেখে নিতে পারেন।
তাই আসুন আমরা জাফর ইকবাল এবং অনুরূপ তথাকথিত প্রগতিবাদী দের এই অপরিণামদর্শী প্রস্তাবের ঘোর বিরোধিতা করি এবং সন্তানদের হাতে এনাদের বই তুলে দেয়ার আগে আরও একবার ভাবি- আজ থেকে ১০-১৫ বছর পর আমরা আমাদের সন্তানদের কি রূপে দেখতে চাই, ইসলাম সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নিয়ে বেড়ে ওঠা মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ নাকি ধর্ম ও বিবেক বিবর্জিত মানুষরূপী পশু হিসেবে।
written by : Hamida Mubasshera
http://www.facebook.com/topic.php?uid=48884725490&topic=8067
0 comments:
Post a Comment