Critical evidences of the fact that Dr. Muhammad Zafar Iqbal Is working against Islamic Aqidah

মুসলিম হিসেবে নিশ্চই আমরা সবাই গর্ব বোধ করি এবং আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ নিয়েও আমরা অত্যন্ত গর্বিত। এই গৌরবের একটা প্রধান কারণ হল এখানে মুসলিমরা যদিও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ট কিন্তু তারা অন্যান্য বিশ্বাসের মানুষদের সাথে অত্যন্ত সুদৃঢ় আত্নার আত্নীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ। পার্শ্ববর্তীদেশ গুলোর মত কেউ চাইলেই এখানে ধর্মীয় দাঙ্গা উস্কে দিতে পারেনা। এদেশের মানুষ ঐতিহ্যগতভাবেই পারস্পরিক মাতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং গনতান্ত্রিক সংস্কৃতি তে অভ্যস্থ।

মত প্রকাশের স্বাধীনতা একটি মৌলিক অধিকার। কিন্তু এই অধিকারের অপব্যাবহার করে কেউ যখন আমার লালিত বিশ্বাস এবং চেতনা নিয়ে মস্করা করে আমি তখন তার পা চেটে দেব এমনটা আমার ঈমানের দাবী নয়। স্বাধীনতা এবং সেচ্ছাচারিতার সীমা রেখাটা কোথায় সেটা বোধকরি শিক্ষিত সকলেরই বোঝার কথা। যে কারও এই স্বাধীনতা থাকা উচিত যে সে যেকোন ধর্ম পালন করবে অথবা আদৌ ধর্ম নাও পালন করতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধান সবাইকে এই স্বাধীনাতা দিয়েছে।

কিন্তু আমার বিশ্বাস নিয়ে কটাক্ষ করার অধিকার কারও নেই। মুসলিম হিসেবে সাক্ষ্য (শাহাদাহ) দেবার পর যে কয়টি বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা ঈমানের প্রাথমিক দাবী তার অন্যতম হচ্ছে অদৃশ্যের উপর এবং ফেরেস্তাদের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা। এখানটাতে আমাদের ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল সাহেবের ঘোরতর আপত্তি রয়েছে। যাঁরা তার লেখা কয়েকটি বই অন্তত পরেছেন তারা সহজেই এবাপারটা খেয়াল করেছেন নিশ্চই?

আমরা তখন কত অসহায় বোধ করি যখন ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবালের মত একজন ব্যক্তিত্ব্য তার বই তে জীন-ভূত বিশ্বাস না করার জন্য ফুটফুটে ছোট বাচ্চাদের আহবান জানান। জীন-ভূত বলে যে কিছু নেই সে কথা না মানলে যে বিজ্ঞান্মনস্ক হওয়া যায়না সে কথা প্রমানে তার কি প্রানান্তকর চেষ্টা। অথচ আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালা মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানবজাতী কে আহবান করার সাথে সাথে জীনদেরও আহবান করেছেন। তাহলে ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল সাহেব সত্যবাদী হয়ে থাকলে আল্লাহ নিশ্চই মিথ্যাবাদী?একজন মুসলিম কিভাবে আল্লাহ ও তার কিতাবের বিরুদ্ধে এমন অপবাদ মেনে নিতে পারে? জীনের সাথে ভুত শব্দ জুড়ে দিলেই যে ব্যাপারটা হালকা হয়ে যায়না, আশাকরি যারা মোহগ্রস্থ নন তাঁরা সকলেই বুঝবেন, উপরন্তু সরাসরি না বলে একটু ঘুরিযে বলার কৌশল ছাড়া এটি আর কিছুই না।

আমাদের কি এই প্রশ্ন করার অধিকার নেই যে কেন ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবালের বইয়ের ভিলেন চরিত্রগুলোর রুপায়নের সময়েই কেবল নবীর সুন্নাত পালনকারী মানুষগুলোর কথা তার মনে পড়ে? এগুলো সবই কি coincidence? বস্তুত এই শ্রেণীর লোকগুলো হচ্ছে জ্ঞানপাপী। তাদের মুখে বিদ্বেষ প্রকাশ পায়।

আল্লাহ বলেনঃ “... যা তোমাদের কষ্ট দেয় তা তারা কামনা করে। আর কখনো কখনো তাদের মুখ থেকে বিদ্বেষ প্রকাশ হয়ে পড়ে; কিন্তু তাদের অন্তরে যা গোপন রাখে তা তো আরো গুরুতর...”-আল-ইমরানঃ ১১৮

এরকম আরও অনেক উপাদান ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবালের বইতে হরহামেশা পাওয়া যায় যা গ্রুপের ডিস্ক্রিপশন বিভাগে দেয়া হয়েছে, এখানে পুনরুল্লেখ করে বিরক্তি উৎপাদন করতে চাইনা। শুধুমাত্র আমাদের আত্নবিস্মৃতির সুযোগেই এমন দুঃখজনক ঘটনা আমাদের নাকের ডগায় ঘটতে পারছে। শুধু তাই নয় আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের হাতে আমরা আমাদের বিশ্বাসের চরম বিদ্বেষী উপাদান তুলে দিচ্ছি! জাতীর জন্য দূর্ভাগ্যজনক বৈকি!

যাঁরা মুসলিম হিসেবে গর্ব বোধ করেন তাদের উচিত তীব্র ভাষায় এমন অপকর্মের নিন্দা জানানো। তবে মুসলিমদেরকে যেহেতু আল্লাহতায়ালা মধ্যমপন্থী জাতী হিসেবে সৃষ্টি করেছেন তাই মুসলিমদের একথাও স্মরণ রাখা উচিত যে আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারী কে পছন্দ করেন না।

আল্লাহ বলেনঃ …“তারা আল্লাহকে ছেড়ে যাদের উপাসনা করে তোমরা তাদের গালি দিওনা, কেননা তাহলে অজ্ঞতাবশত সীমালঙ্ঘন করে তারাও আল্লাহকে গালি দেবে”। - আল-আনয়ামঃ ১০৮

আল্লাহ বিতর্কের পন্থা নির্ধারণ করে দিয়েছেনঃ …“আপনার রবের (প্রতিপালক) পথে মানুষকে ডাকুন কৌশল এবং উপদেশ দিয়ে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন শ্রেষ্ঠ পন্থায়। নিশ্চই আপনার রব সে ব্যক্তিকে বিশেষভাবে জানেন যে তার পথ থেকে ভ্রষ্ট হয়ে গেছে এবং তিনি সৎপথগামীদেরকেও ভালভাবে জ়ানেন”।- আন-নাহলঃ ১২৫
আর যাঁরা সামাজিকতার কারনে ইসলাম ত্যাগ করতে চান না এবং যারা অন্যান্য ধর্মাবলম্বী তাদের কাছে অনুরোধ অপরের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর স্বার্থে তারাও যেন এমন জ়ঘন্য বিদ্বেষ মূলক আচরণের নিন্দা জানান। একটি মুসলিম সরকারের তো বটেই যেকনো গনতান্ত্রিক মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সরকারেরই উচিত এ ধরনের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে আক্রমনের বিচার করা। একজন ব্যক্তির মেধা তার অপকর্মের ঢাল হতে পারেনা।

মোহগ্রস্থ অনেকের জ্ঞ্যতার্থে জানাচ্ছি মতলববাজ ইসলাম বিদ্বেষী মিডিয়ার আনুকুল্যে CALTECH গ্রাজুয়েট হওয়া সত্তেও নাম্বার ওয়ান হওয়া যায় কিন্তু প্রকৃত পক্ষে সেরা হওয়া যায়না। আমি জিজ্ঞাসা করতে চাই অর্থনীতি বিভাগের কতজন ছাত্র-ছাত্রী জানেন যে বাংলাদেশে তো বটেই পুরো পশ্চিম বাংলায় এবং বাংলাদেশ মিলিয়ে একমাত্র নারী MIT PhD তাদের ডিপার্টমেন্ট এর ফ্যাকাল্টি? আর ডিপার্টমেন্ট এর বাইরের যারা তাদের কথা তো ছেড়েই দিলাম। কিন্তু মতলববাজ মিডিয়ার দয়া দাক্ষিণ্যে এই মহাবিজ্ঞানী যে CALTECH ফেরত তা দেশবাসীশুদ্ধ জেনে বসে আছে। বলাই বাহুল্য ইসলাম বিদ্দেষী না হলে মতলববাজ মিডিয়ার আনুকুল্যও পাওয়া যায়না। কোয়ালিটি সম্পন্ন লেখা (বিদেশি সায়েন্স ফিকশনের বাংলা অনুবাদগুলো ব্যাতীত যেখানে আবার উল্লেখ করা থাকেনা যে এটি বিদেশি সায়েন্স ফিকশনের বাংলা অনুবাদ, সততার প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ বটে!!!) আর বিজ্ঞান গবেষণা যে এক নয় তা বোধকরি সবারই বোঝার কথা।

কুরআনের একটি আয়াত দিয়ে লেখাটি শেষ করতে চাইঃ “When truth is hurled against falsehood, falsehood perishes, for falsehood is by its nature bound to perish”. - Surah Isra, Ch. No. 17, Verse No. 81,

“যখন সত্যের মুকাবিলা করার জন্য মিথ্যাকে দাঁড় করানো হয়, তখন মিথ্যা পরাজিত হয়, মিথ্যার প্রকৃতিই এমন যে মিথ্যা পরাজিত হবেই”।
সুরা ইসরা(বনী ঈস্রাইল)- ৮১।

আল্লাহ আমাদের সকলকে ক্ষমা করুন এবং সত্যাশ্রয়ী হতে সাহায্য করুন।

http://tinyurl.com/ndg8zo
24.06.2009

0 comments:

Post a Comment

টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - ফেসবুক পেজ | ফেসবুক গ্রুপ