মুলগ্রুপ-ইনফো নিয়ে অভিযোগের জবাব ও জাফর ইকবালের বই-নকল-সমগ্র

Jafor Iqbal is working against Islam: এই গ্রুপের বর্ণণা আর ওয়াল পড়ে কিছু কথা মনে হলো যা ওয়ালে লিখলে স্থান সংকুলান হবে না বলে ডিস্কাশন বোর্ডে লিখছি।

১। "যতগুলো বই তিনি লিখেছেন, বিশেষ করে সায়েন্স ফিকশন - কোনটাই তার মৌলিক লেখা না । বিদেশি গল্প থেকে থীম ধার করে লিখেছেন বাংলায় ।"
এখানে কোন কোন বিদেশি বই থেকে উনি নকল করেছেন, তার তথ্যসূত্র দিলে ভালো হতো, এখানকার কারো কারো মত আমি ও এটা মনে করি।।

২। "ছোটদের জন্য লেখা বইয়ের মূল চরিত্রের ডায়ালগ থাকে এরকম , "এই কাজটা যদি হয়ে যায়-তাহলে আজ হতে সত্যি সত্যি আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করতে শুরু করবো"! ...কোন কাজ করতে গিয়ে ব্যর্থ কিশোরের ডায়ালগ থাকে...আল্লাহর ওপর বিশ্বাস কমে গেলো !!!! "

উনি যদি এরকম কথা লিখে থাকেন, কুরআন-হাদিসেও তো এ কথা বলা হয়েছেঃ মানুষ থাকে ঈমানের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়ানো। যদি সে ভালো কিছু অর্জন করে, তাহলে সে আল্লাহ'র উপর ঈমান আনে, যদি ব্যার্থ হয়, তাহলে সে ঈমান হারিয়ে ফেলে। সত্যি কথা, আমি অনেক মুসলিমকে দেখেছি, কোনো কিছু না পেলেই আল্লাহকে অবিশ্বাস করতে শুরু করে, এটা হয় আল্লাহ সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা না থাকার জন্য। মনে পড়লে আমি এই লেখার সাথে কুরআনের আয়াত বা হাদিসের উধ্বৃতি দিয়ে দিবো। ইনশাআল্লাহ। তবে, এ কথা ঠিক, মানুষের ঈমান কখনো কমে, কখনো বাড়ে। এটাও হাদিস। আর ঈমান বাড়া-কমার বিষয়টি মানুষের মনস্তাত্ত্বিক বাস্তবতা। এখন এই বিষয়টি যদি জাফর ইকবাল বা তার মত ব্যক্তিরা উপলব্ধি না করেন, বরং এটা নিয়ে হাসাহাসি-বাড়াবাড়ি শুরু করে আবারো স্টেরিওটাইপ করা অর্থাত সবাইকে এক কাতারে ফেলে এক পাল্লায় মাপেন, সেটা হবে জুলুম ছাড়া আর কিছু না । সেটআই বরং অন্ধত্ব বা biasness ।

৩) "বইয়ের ভিলেন চরিত্র থাকে বেশিরভাগ সময় দাড়ি-টুপিঅলা । সেই দাড়িঅলার দাড়ি নিয়েও থাকে তার এবং গল্পের চরিত্রদের ব্যাঙ্গবিদ্রুপ ।...জাফর ইকবালের গল্পে থাকে মুসলমানদের বাড়ি থেকে নাকি হিন্দু ভিক্ষুককে ভিক্ষা দেয়া হয়না !"

এটা সত্যি দুঃখজনক একটা প্রবণতা নাস্তিকদের বা ইসলাম-বিরোধীদের। দাড়ি-টুপিকে বা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনাকে (কোনো বাড়িতে হয়ত হিন্দু ভিক্ষুককে ভিক্ষা দেয়া হয়নি, এমন ২/১ টা ঘটনা ) হাইলাইট করে গণহারে পুরো ধর্ম বা ধর্মাবলম্বীদেরকে অপবাদ দেয়া, অপমান করাঃ এভাবে স্টেরিওটাইপ বা জেনারালাইজ করাকে আর যা'ই হোক, স্কলারসুলভ আচরণ বলা যাবে না। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার মধ্যে অবশ্যই সৌজন্য থাকতে হবে। আমার মনে হয়, মত-প্রকাশের স্বাধীনতার উপর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বা আন্তর্জাতিক লেভেলে কনফারেন্স বা সেমিনার আয়োজন করা যেতে পারে। মত-প্রকাশ কিভাবে করলে অন্যের অনুভূতি আহত হবে না, বা অন্যদের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন থাকবে, পারষ্পরিক সামাজিক সম্পর্কগুলো সুস্থ থাকবে, আমরা সব প্লাটফর্মের মানষগুলোই একসাথে ভালো কিছু অর্জনের জন্য চেষ্টা করতে পারব, সবারই সেটা শেখা এবং মানা উচিত।

দাড়ি-টুপিওয়ালা সবাই খারাপ , কিন্তু দাড়ি-টুপিবিহীন সবাই ফেরেশতা বা মহা-মানব, এটা প্রমাণ করার জন্য ওদেরকে আহবান করা যেতে পারে। যদি ওরা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে এই সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে যে, তা প্রমাণ করার সাধ্য ওদের নেই। ওরা যা করে, তার পিছনে হীন আর নির্বোধ উদ্দেশ্য কাজ করে। আবার ইসলাম-বিরোধী বা ধর্মবিরোধীরাও এরকম আহবান করতে পারেন, সেক্ষেত্রে মুসলিম বা অন্য ধর্মাবলম্বীদেরকেও তাদের অভিযোগ খন্ডন করার জন্য শালীন ও সৌজন্যমূলক আর অ্যাকাডেমিক প্রস্তুতি রাখতে হবে।

৪। " অতি সম্প্রতি তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, মাধ্যমিক স্তরে ধর্মশিক্ষাকে বাদ দিয়ে দিতে হবে । তাহলে নাকি দেশ উন্নতি করবে ! ! !"

কি আশ্চর্য ! তাহলে তিনি যখন ছাত্র ছিলেন, তখন তো নিশ্চয়ই মাধ্যমিক স্তরে ধর্ম-শিক্ষা ছিলো। তাহলে তিনি নিজে কিভাবে উন্নতি (!) করলেন এই সিস্টেমে থেকেও? এ ধরণের দাবী ওনেকেই করেন এবং তারপরো নিজেদেরকে 'গনতন্ত্রপন্থী' বলে দাবী করেন । অথচএ কথা বললেই কি ভাল হতো না যে, মাদ্রাসা শিক্ষার কারিকুলাম গবেষণা করে তার উপযুক্ত সংস্কার করা দরকার ? যাতে মাদ্রাসার ছেলে-মেয়েরা কর্মক্ষেত্রে বা বৃহত্তর প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে না পড়ে?

অথচ যতই ইসলাম-বিরোধীরা বা ধর্মবিরোধীরা আমেরিকা আমেরিকা করুন না কেন, খোদ আমেরিকাতে কিন্তু আন্তঃধর্মীয় সম্মেলন হয়, নামজাদা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসলাম ও অন্যান্য ধর্ম ও সংশ্লিষ্ট সাহিত্য-ঐতিহ্য পড়ানো হয়, এমনকি ডক্টরেট পর্যন্ত। অথচ আমরা ঠিক কি বিচারে নিজেদেরকে এতো জ্ঞানী মনে করে ইসলাম নিয়ে এতো আজে-বাজে কথা বলি, কেন আমাদের মনস্তত্ত্ব এত আক্রমনাত্বক, এটা কি ভৌগোলিক না অ্যানথ্রপোলজি না জলবায়ুর কারণে, আমি জানি না।

আরেকটা কথা বলা দরকার। ইসলামে অশ্লীল গালাগালি কিন্তু নিষিদ্ধ। এটাকে মুনাফেকী বলা হয়েছে । আমরা যদি ইসলামের পক্ষে কিছু বলতে চাই আল্লাহর সন্তুষ্টি পাবার আশায়, তার পছন্দমত আচরণেই সেটা করতে হবে, যেমনটা কুরআনে বলা হয়েছেঃ তাদেরকে উপদেশ দাও/ স্মরণ করিয়ে দাও হিক্মতের সাথে/প্রজ্ঞার সাথে/উত্তম ভাষায়/পন্থায় (মাওঈঝাতুল হাসানাহ বা ইহসানপূর্ণ বা সুন্দর বক্তব্যের সাথে)।

এই লেখায় কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে তা হবে নিতান্তই আমার অনিচ্ছাকৃত। আল্লাহই ভালো জানেন।


মুক্তিযুদ্ধের সময় জাফর ইকবালের নানা ছিলেন একজন বিশিষ্ট রাজাকার । রাজাকার নানার আশ্রয় আর সাহায্যে ৭১ এর দিনগুলি পার করেছে তার পরিবার ।

>> কোথায় পেলেন উনারা নানার আশ্রয়ে ছিলেন?

তবে দু:খজনকভাবে নানার অনুপস্থিতিতে অন্য রাজাকারদের হাতে তার বাবা নিহত হন, যিনি ছিলেন একজন পুলিশ অফিসার । একাত্তরের উত্তাল দিনগুলিতে তিনি তার পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়ে সরকারি দায়িত্ব ঠিক ই পালন করছিলেন ।

>> নিরাপদ আশ্রয়টা কোথায় এবং কার কাছে?

জাফর ইকবালের পরিবারের রাজাকার কানেকশন বিষয়ক তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন তার ই বড়ভাই হুমায়ুন আহমেদ নিজের লেখা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণমূলক বইয়ে ।

>> কোন বই? কত পৃষ্ঠা?

একাত্তরে তার বাবা নিহত হয়েছে, এই আবেগ মানুষের কাছে বিক্রি করে জাফর ইকবাল পরিনত হয়েছেন পুরোপুরি একজন ভন্ডের প্রতিকৃতিতে । মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রিকারী জাফর ইকবালের ভন্ডামীর একটা বড় নমুনা হলো পদার্থবিদ্যায় পড়াশুনা করে কম্পুটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকতায় নিয়োগ লাভ ।

>> কি রকম?

তার ডিপার্টমেন্টের ছাত্রদের অভিযোগ, জাফর ইকবাল ক্লাশে কখনো কিছু পড়াতে পারেন না । সিএসই এর বেসিক; এলগরিদমের যেকোন ছোটখাট সমস্যা সমাধান করতে গেলেও উলট-পালট করে ফেলেন ।

>> কোন ছাত্র? কোন ব্যাচ? আমি তো ওনার ছাত্র। আমাদের ক্লাশে তো এরকম কখনও হয়নি!

জাফর ইকবাল একজন লেখক । যতগুলো বই তিনি লিখেছেন, বিশেষ করে সায়েন্স ফিকশন - কোনটাই তার মৌলিক লেখা না ।

>> উনি কবে দাবী করেছেন উনি মৌলিক লেখা লিখেন?

বিদেশি গল্প থেকে থীম ধার করে লিখেছেন বাংলায় । মূলত সায়েন্স ফিকশনের মাধ্যমে তরুন সমাজের কাছে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি ।

>> তো?

জনপ্রিয়তা কে হাতিয়ার করে এরপর তিনি দেখিয়েছেন তার আসল রূপ । কখনো স্পষ্টভাবে, কখনো সুক্ষ্মভাবে তার বইয়ের লাইনে লাইনে ঢুকিয়ে দিয়েছে ইসলাম বিদ্বেষের উপকরণ ।

>> অন্তত: একটা বইয়ের নাম বলেন।

সায়েন্স ফিকশন গুলোতে নাস্তিকতা , ইশ্বর তথা স্রষ্টার অস্তিত্বহীনতা , বেহেশত-দোজখ প্রভৃতি ইসলামী টার্মের প্রতি ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ , কাল্পনিক মহাজাগতিক প্রানীকে "ইশ্বর" এর সাথে তুলনা করা - এসব তার লেখার মুল উপসঙ্গ !

>> কোন সুনির্দিষ্ট উদাহরণ? বইয়ের নাম ও পৃষ্ঠা সহ দিন।

খুবই চতুরতার সাথে জাফর ইকবাল তার বইয়ে মুসলমানদের "আল্লাহ" শব্দ ব্যবহার না করে "ইশ্বর" শব্দ ব্যবহার করে তরুনদের মনন কে নাস্তিকতার প্রতি সহানুভূতিশীল করার চেষ্টা করে থাকেন ।

>> আমি তার বইয়ে আল্লাহ শব্দটি পেয়েছি।

তার গল্পগুলোতে থাকে ইশ্বরবিহীন মহাজগতে শান্তি শৃঙ্খলা বিদ্যমান- আর যেখানেই ইশ্বরের উপন্থিতি দেখা যায়- সেখানেই প্রানীতে-প্রাণীতে হিংসা-ভেদাভেদ তৈরী হয় । এই হলো জাফর ইকবালের ধর্ম সংক্রান্ত টার্গেট ।

>> কোন গল্প?

জাফর ইকবালের কিছু বই আছে ছোটদের জন্য । এর মধ্যে কয়েকটা ডেফিনেটলি ভালো বই । এবং এই বইগুলো তার লেখক জীবনের প্রাথমিক অবস্থায় লেখা । মোটামুটি স্টাবলিশ হবার পরে ছোটদের বইয়ে জাফর ইকবাল তার আসল খেলা শুরু করে । ছোটদের বইয়ে ঢুকিয়ে দেয় নোংরা রাজনীতির বিষবাষ্প !

>> কোন বই?

ছোটদের জন্য লেখা বইয়ের মূল চরিত্রের ডায়ালগ থাকে এরকম , "এই কাজটা যদি হয়ে যায়-তাহলে আজ হতে সত্যি সত্যি আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করতে শুরু করবো"! ...কোন কাজ করতে গিয়ে ব্যর্থ কিশোরের ডায়ালগ থাকে...আল্লাহর ওপর বিশ্বাস কমে গেলো !!!!

>> কোন বই?

বইয়ের ভিলেন চরিত্র থাকে বেশিরভাগ সময় দাড়ি-টুপিঅলা । সেই দাড়িঅলার দাড়ি নিয়েও থাকে তার এবং গল্পের চরিত্রদের ব্যাঙ্গবিদ্রুপ ।

>> দাড়িওলা ভাল মানুষও তো আছে। সেটা লুকানো ঠিক হয়নি।

জাফর ইকবালের গল্পের ভাগ্নে মামার কাছে বেড়াতে গিয়ে পাকিস্তানি কশাইয়ের জবাই করা হালাল মাংশের চেয়ে মার্কিন কশাইয়ের কাটা হারাম মাংশ খেতে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করে ।

>> কোন বই?

জাফর ইকবালের গল্পে থাকে মুসলমানদের বাড়ি থেকে নাকি হিন্দু ভিক্ষুককে ভিক্ষা দেয়া হয়না ! গল্পে শিক্ষা দেয়া হয় কচি বাচ্চাদের, ধর্ম মানুষের মাঝে ভেদাভেদ ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেনি । ! এই হলো জাফর ইকবালের শিশু-কিশোর সাহিত্য !

>> খুব কি ভুল? আপনার মত মিথ্যাবাদী কাম ইসলামপ্রেমীদের কথা লিখেছেন।

ইসলামের ব্যাপারে জাফর ইকবালের চরম এলার্জী আছে, তার প্রমান পাওয়া যায় তার বিভিন্ন বক্তব্য আর কর্মকান্ডে । শতশত আওলিয়া-দরবেশের পূণ্যভূমি সিলেটের শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রজুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরন নিয়ে জাফর ইকবাল যে নোঙরামী করেছে- সিলেটবাসী তা কখনো ভুলবে না ।

শাবিপ্রবির বিভিন্ন হল ও একাডেমিক ভবনের নাম সিলেটের গুনিজন ও আওলিয়াদের নাম অনুসারে হোক, এই ছিলো সিলেটবাসীর দাবী । জাফর ইকবাল পুরো সিলেটের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে যায় সেসময় এবং আবদার তোলে জিসিদেব-জাহানারা ইমামদের মত নাস্তিক আর সেক্যুলারদের নামে নাম রাখার জন্য ।

>> আমাদের বিল্ডিং এর নাম সিন্ডিকেট (জাফর ইকবাল নয়) প্রস্তাব করেছিল সত্যেন বোস ভবন। তারপর আওয়ামী লীগ আর জামাত একত্র হয়ে এই নামকরণের বিরোধিতা করে। উনি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন। এখানে সমস্যাটা কোথায়?

ফলশ্রুতিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সিলেটের আপামর জনসাধারণ । সেই বিক্ষোভে শহীদ হন একজন ছাত্র । রক্তের বিনিময়ে রক্ষা করতে হয় পূণ্যভুমি সিলেটের চিড়ায়ত ইসলামী ঐতিহ্যকে !

>> কোন ছাত্র? নতুন তথ্য!

মাদ্রাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে প্রায়ই বিরোদ্গার করেন এই ব্যক্তি । অতি সম্প্রতি তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, মাধ্যমিক স্তরে ধর্মশিক্ষাকে বাদ দিয়ে দিতে হবে । তাহলে নাকি দেশ উন্নতি করবে ! ! !

>> কবে কোন পত্রিকায় পেলেন?

জাফর ইকবালের চটকদার অনুবাদ সাহিত্য পড়ার সময়ে তরুন-তরুনী ভাইবোনদের প্রতি এটুকু আহবান রইলো, একটু সচেতন হন । সচেতন হন আপনার বিশ্বাস-চিড়ায়ত বাংলার মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যের বিরোধী কোন আদর্শের সাথে আপোষ করছেন না তো ?

>> বানানটা ঠিক করেন। কোন অনুবাদের কথা বলছেন?

জাফর ইকবালের ইসলাম বিদ্বেষী চরিত্র সবার কাছে পরিস্কার হোক। সবাই বুঝতে পারুক দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধ্বংস করার কুটিল চক্রান্তকারী এই তথাকথিত প্রগতিশীল ব্যক্তির টার্গেট কতটা জাতিবিধ্বংসী !

>> গাজাখুরী কথা।


--------------------------------------------------------------------------

আপনি চাইলে আমি আপনাকে ওনার বাসায় নিয়ে যেতে পারি। ওখানে ওনাকেই এই কথা গুলো বলবেন। রাজি? সাহস আছে?

@ Shuvo Rashid, brother, what u have mentioned here is not my opinion or my saying. It is the description chosen by the administration, so plz, direct ur query to them.

Rest of the ppl alongwith Shuvo ofcourse, Thank u for ur valuable participation. I too think that this is time not to be disintegrated or divided. Rather, let us try to work constructively and positively for our beloved country on a common ground.

And Admin, I support the effort to the specific (u know my stance now) extent that, if we get offended by anybody, any scholar, we must raise our voice that: things like this won't be taken for granted.This way, we can generate healthy discussion or exchange of views so that misunderstandings between all sort of ppl can be eliminated.

May Allaah bestow his blessings upon us!

Shiekh Mamun (Notre Dame College, Dhaka) লিখেছেন:

suvo rashider post dekhe ottonto hasi paiteche....
3 bochorer bacchar moto...
khali prosno kore....
dusto chele..lolz

'Shatil' M. Tawsif Salam (North South University) লিখেছেন:

মুহম্মদ জাফর ইকবালের কিশোর সাহিত্য গুলোতে ইসলামকে নেতিবাচক ভাবে দেখতে উৎসাহিত করা হয়। একটু চোখ কান খোলা রেখে সেগুলো বিশ্লেষণ করলে এটি নজরে পড়তে বাধ্য। তার কিশোর সাহিত্যে নায়ক কিশোরের অত্যন্ত খল্ চরিত্রের বাবা হবেন নামাজী ও ধার্মিক, তার গল্পে স্কুলের ইসলাম ধর্ম বা আরবী শিক্ষক হবেন ঈর্ষাকাতর ও লোভী, তার রচনার প্রধান খল চরিত্র বা খল চরিত্রের কোন একান্ত দোসর হবেন দাড়ি-টুপিধারী। অন্ধ জাফরভক্তরা অনর্থক তর্কে যাবার আগে মিলিয়ে দেখবেন। শাহজালাল ইউনিভার্সিটির রেসিডেন্সিয়াল হলগুলোর নামকরণ করতে গিয়ে জাফর ইকবালের প্রকৃত রূপ জানা যায়। পূণ্যভূমি সিলেটে যখন পীর আউলিয়াদের নামানুসারে সেসব ভবনের নামকরণ প্রস্তাবিত হল তখন জাফর ইকবাল তাতে বাগড়া দিলেন। তিনি জানালেন জগদীশচন্দ্র দেব, নীলিমা ইব্রাহীম এদের নামে নামকরণ হবে না কেন। জানতে চাওয়া যেতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ বুদ্ধিজীবিদের নামানুসারে করতে হবে উন্নত বিশ্ব থেকে হিপোক্রিট জাফর ইকবাল কি এই শিক্ষা নিয়ে ফিরেছেন? ইংল্যন্ডে এটলি হাউজ, চার্চিল বিল্ডিং, সেন্ট স্কলাস্টিকা হাউজ, সেন্ট মেরিজ কলেজ, সেন্ট মার্টিনস কলেজ, তারপর অ্যামেরিকায় সেন্ট স্কলাস্টিকা ইউনিভার্সিটি, নটরডেম ইউনিভার্সিটি, উইলিয়াম রডহ্যাম ক্লিনটন ইন্সটিটিউট, রবার্ট কেনেডি ইন্সটিটিউট, এগুলোর নাম যাদের নাম থেকে এসেছে তারা কে কোথাকার বুদ্ধিজীবি ছিলেন এর উত্তর কি জাফর ইকবাল দিবেন? জাফর ভক্তরা আমাকে জিজ্ঞেস করবেন বুদ্ধিজীবিদের নামে যে খুচখাচ কিছু রয়েছে সেগুলো উল্লেখ করলাম না কেন। এর উত্তর হল ধর্ম ও রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ব্যাক্তিবর্গের নাম থাকা যে আরও সহস্রাধিক প্রতিষ্ঠানের নাম বলিনি, তাই।

বাংলাদেশী অনেক তরুণ-তরুণী উচ্চ শীক্ষার্জনের লক্ষ্যে নর্থ অ্যামেরিকায় যান। তাদের মধ্য যারা শৈশবে জাফর ইকবালের রচনার পাঠক ছিলেন তারা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের প্রিয় লেখকের ফাঁকি ধরে ফেলতে পারেন। তারা পুরনো বিভিন্ন পাবলিকেশন ঘেটে দেখতে পান জাফর ইকবালের অধিকাংশ রচনাই সেখানকার বহু আগে রচিত রোমহর্ষক বা চিত্তাকর্ষক রচনাগুলোর অনুবাদ মাত্র। এসব টুকে নেয়া গল্প শিশু কিশোরদের খাইয়ে অর্জন করা দেশ জোড়া খ্যাতির গর্ব করেন জাফর ইকবাল। দাবি করা যেতে পারে যে তিনি টুকেছেন তো হয়েছে কি। কিছু তো অবশ্যই হয়েছে। কোন বিশেষ স্থান থেকে গল্প বা অন্যান্য রচনা কপি করা হলে বা সেখান থেকে সামান্য থিমও নেয়া হলে সেই রচনার নিচে মূল রচনার উল্লেখ না থাকলে সেটা সততার পর্যায় কোনদিনই পড়েনা। স্কুলের ম্যাগাজিনগুলোতেও দেখেছি কচি কচি লেখকরা তাদের রচনার উৎস কোন বিদেশী পত্রিকা বা রচনা হলে সেটা অকপটে রেফার করে দেয়। সেটা হচ্ছে সততা। অতএব প্রথম আলোর ক্যাম্পেইনে হুলুম হালুম করে প্রতিজ্ঞা না করে এসব মূল্যবোধ নিজের ভেতরে ধারণ করতে হবে।

সর্ষিনার পীর আবু জাফর মোহম্মদ সালেহর প্রতি আমার বিশেষ শ্রদ্ধা বা ভক্তি থাকার মত কিছু ঘটেনি। আমি এই জগতে পা রাখবার আগেই ভদ্রলোক ইহধাম ত্যাগ করেছেন। অতএব এখানে আমি এখন যা লিখব তাতে মনে করার কোন কারণ নাই আমি সর্ষিনার পীরের একজন মুরিদ। আমরা লক্ষ্য করলে দেখতে পারি জাফর ইকবাল কি নিপূণ হস্তে এই লোকের চরিত্র হননে লিপ্ত হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি সপরিবারে সর্ষিনার পীরের মাদ্রাসায় গিয়ে আশ্রয় চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন, এই রাগবশত জাফর ইকবাল তার লেখনীকে ব্যাবহার করেছেন সর্ষিনার পীর কত ভয়ঙ্কর চরিত্র সেটা বোঝাতে। তিনি বলেন সে আমলে স্থানীয় পাকিস্তান আর্মি কমান্ডারের সাথে সর্ষিনার পীরের ঘনিষ্ঠতা ছিল, সেই কমান্ডার মাদ্রাসা ভ্রমণ করতেন। জাফর ইকবাল কি অস্বীকার করবেন যে সর্ষিনার পীরের সেই খাতিরের কারণে কত মানুষ মাদ্রাসায় আশ্রয় নিয়ে প্রানে বেঁচেছিল? জাফর ইকবাল কি জানেন যে মুক্তিযুদ্ধের শেষ ভাগে সেই মাদ্রাসাটি পরিণত হয়েছিল স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের নিরাপদ আশয়ে? ১৯৮০ সালে সর্ষিনার পীর স্বাধীনতা পুরষ্কার পাবার পর জাফর ইকবাল কলম হাতে সপরিবারে মাতম করতে বসেছিল। অথচ স্বাধীনতার আগে ও পড়ে সর্ষিনার মাদ্রাসায় আংশিক বা সম্পূর্ণ বিনা বেতনে পড়ে কত যুবক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই খবর কি জাফর ইকবাল রেখেছেন? হয়তো রেখেছিলেন, বা রাখেননি। সেসব তার বিবেচনায় স্থান পায়নি। শুধু সর্ষিনা না, বাংলাদেশের তাবৎ পীর-আলেমদের ব্যাপারে জাফর ইকবাল আশা করি এই একই মনোভাব পোষণ করেন, শুধু একটাই কারণ, যে তারা ইসলামের সাথে জড়িত ব্যাক্তিবর্গ।

Asma Mohymen লিখেছেন:

LOL!!!..beshi proshno kora thik na.. innit!!


Shuvo Rashid wrote
ছোটদের জন্য লেখা বইয়ের মূল চরিত্রের ডায়ালগ থাকে এরকম , "এই কাজটা যদি হয়ে যায়-তাহলে আজ হতে সত্যি সত্যি আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করতে শুরু করবো"! ...কোন কাজ করতে গিয়ে ব্যর্থ কিশোরের ডায়ালগ থাকে...আল্লাহর ওপর বিশ্বাস কমে গেলো !!!!

>> কোন বই?

T REXER SONDHANE
one of the character [who is narrating the story says like this- Allah sotti ache ki na ta nie amar majhe majhei sondeho hoy]

This is just one example i remebered instantly. there are tons of them.

Ya i remember one more-

in BRISTIR THIKANA
the girl from usa comes to bd to her relative and on the way home her relative [probably Aunty] says to her showing the DATE TREES on the side of airport road that this is the evidence that the 'mullahs' are trying to turn the country into Afghanistan. NOW how the planting of a date tree can be associated with ISLAMIC TERRORISM, JONGIBAD BLAH BLAH BLAH?

This is the extent to which ZI hates Islam.

Another incident i remeber when the zia airport had its banner witten in arabic ZI was the first to protest saying its the work of some fundamentalist who are trying to make this country into Afghanistan.
I was shocked at the news and thought that the bangla and english banner were replaced by arabic banner. but later i saw that bangla and english banner were intact arabiic being the third.
NOW I CAN BET MY LIFE THAT HAD THE BANNER BEEN WRITTEN IN FRENCH, SPANISH OR LATIN HE WOULD NOT HAVE RAISED HUE AND CRY.

Shuvo Rashid wrote
মুক্তিযুদ্ধের সময় জাফর ইকবালের নানা ছিলেন একজন বিশিষ্ট রাজাকার রাজাকার নানার আশ্রয় আর সাহায্যে ৭১ এর দিনগুলি পার করেছে তার পরিবার

>> কোথায় পেলেন উনারা নানার আশ্রয়ে ছিলেন?
NOW I DONT KNOW WHETHER THEY STAYED WITH THEIR NANA OR NOT BUT HE WAS ON PAKISTANS SIDE

from where did i get it?
Humayun Ahmeder kache 1000 proshno or 1000 proshne humayun Ahmed or very similar to that. Written by Mahfuz Ahmed the TV actor. published by Either HAQQANI PUBLISHERS or MOLLAH BROTHERS

Shuvo Rashid wrote
আপনি চাইলে আমি আপনাকে ওনার বাসায় নিয়ে যেতে পারি। ওখানে ওনাকেই এই কথা গুলো বলবেন। রাজি? সাহস আছে?
I sent him letter on this subject but he didnt respond. AND yes i have the guts to say this in front of him.

0 comments:

Post a Comment

টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - ফেসবুক পেজ | ফেসবুক গ্রুপ